সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রেলওয়ে কলোনি মহল্লায় বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন নারী কনস্টেবলসহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তা। এ ঘটনায় তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও ২০ লিটার দেশীয় মদ উদ্ধারসহ লাখি খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে ওই মহল্লার প্রভাবশালী দলীয় নেতা আমিনুল ইসলাম রানার স্ত্রী।
সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, শুক্রবার রাতে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে জরিনা বেগম বলেন, তার নাবালিকা মেয়ে নদী খাতুনকে (১৪) তার স্বামী সাইদুল ইসলাম বাল্য বিয়ে দিচ্ছেন। এ বিয়ে বন্ধে তার আইনি সহায়তা চান এবং ওই নারী থানায় গেলে পুলিশ ওই মহল্লার সংবাদদাতার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ের সত্যতা পাওয়া যায়। পুলিশ এ বাল্যবিয়ে না দেয়ার জন্য নিষেধ করা হয় এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়। এতে একপর্যায়ে ওই প্রভাবশালী দলীয় নেতার নেতৃত্বে ১৫/১৬ জন পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং নারী কনস্টেবলসহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলা চালায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেলের নিক্ষেপে তারা আহত হয়। পুলিশের একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
এছাড়া সংবাদদাতা ওই নারীসহ তার ছেলে জীবন (১৬) ও নাবালিকা মেয়ে নদী খাতুনকেও মারপিট করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ সময় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামি রানার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উল্লেখিত অস্ত্র ও চোলাই মদসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।